বাউফলে সড়কের বেহাল দশা,জনসাধারণের ভোগান্তি

বাউফলে সড়কের বেহাল দশা,জনসাধারণের ভোগান্তি

সাইফুল ইসলাম,বাউফল : পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের ভরিপাশা গ্রামের আলকি নদীর পাড় ঘেষে খেয়াঘাট থেকে পূর্ব দিকে প্রায় ৩ কিলোমিটার পর্যন্ত সড়কের বেহাল দশা। সড়কেটি সংস্কারের অভাবে দীর্ঘবছর ধরে যানবহন ও জনসাধারণের চলাচলের অযোগ্য হয়ে ওঠেছে। সড়কটি দিয়ে কেশবপুর ইউনিয়নের মমিনপুর, বাজেমহল ,তালতলী ও ভরিপাশা গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের নানান প্রয়োজনে প্রতিদিন নুরাইনপুর বন্দর ও উপজেলা সদরের যাতায়াত করতে হচ্ছে। এতে ভোগান্তিসহ প্রতিদিনই ঘটছে ছোট বড় সব দুর্ঘটনা।ফলে রাস্তাটি এখন মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে। প্রতি বছর স্থানীয়রা  টাকা পয়শা উঠিয়ে নিজেরা কিছু বালু সিমেন্টের বস্তা ফেলে সড়কটি কোন রকম টিকিয়ে রাখলেও এ বছর সড়কের অবস্থা আরো বেশী খারাব হয়ে দাড়িয়েছে। কোন কোন জায়গায় মাত্র দেড় ফুট মাটি বিদ্যমান রয়েছে। যেখান দিয়ে একটি মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়াটাও কষ্টকর হয়ে দাড়িয়েছে। ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে স্থানীয়দের।
এলাকাবাসীর দাবী, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা রাস্তাটি পুনঃনির্মান কিংবা সংস্কারের ব্যাপরে একেবারেই উদাসীন। জনগনের এ ভোগান্তি দেখার যেন কেই নেই। নিরুপায় হয়ে সড়কটি সংস্কারের জন্য অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভোগান্তির কথা তুলে ধরে ষ্ট্যাটাস দিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করার চেষ্ট করছেন।
ভরিপাশা গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন আক্ষেপ করে বলেন, উন্নয়নের কথা শুনেছি। কিন্ত চোঁখে দেখিনি। ভরিপাশা গ্রামে উন্নয়নের কোন হাওয়া যে লাগেনি তা সড়কটির অবস্থা দেখলেই বুঝা যায়। দীর্ঘ বছর ধরে আমারা এলাকাবাসী অনেক কষ্ট করে সড়কটি দিয়ে যাতায়াত করছি। আমাদের এই কষ্ট কারো চোখে পড়ে না। অথচ নির্বাচন আসলে নানান প্রতিশ্রুতি দেন জনপ্রতিনিধিরা। ওই প্রতিশ্রতি পর্যন্তই শেষ। এরপর নির্বাচিত হয়ে গেলে আর জনগনের দুঃখ ও দুঃদর্শার কথা মনে থাকে না তাঁদের।
কেশবপুর ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাড. মহিউদ্দিন আহম্মেদ লাভলু বলেন,এলজিইডি’র অধীনে ক্ষুদ্র পানি সম্পদ প্রকল্পের মাধ্যমে সড়কটি বাস্তবায়নের জন্য অনেক আগেই একটি তালিকা জমা দেয়া হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন খোঁজ খবর পাচ্ছি না।